Nursery

জি জি প্লান্ট বা Zanzibar Gem

zz plant-price-in-bd-benefits

একটি আদর্শ ইনডোর প্লান্ট। এ গাছটি দেখতে আকর্ষণীয়।কম আলোতে বেঁচে থাকতে পারে।
তেমন যত্নের প্রয়োজন হয় না। মাসে ২বার পানি দিলেই চলে।ঘরের বাতাস কে বিশুদ্ধ রাখে।
ঘরের অক্সিজেনের পরিমান বাড়ায়।নাসার গবেষণায় জানা যায়, এটি ঘরের বাতাস থেকে জাইলিন, টলিউইন , বেনজিন , এথাইলবেনজিনের মতো বিশাক্ত গ্যাস অপসারণে কার্যকরী।

জেডজেড প্ল্যান্ট এর প্রকার:
ক. রেভেন জেডজেড
এই জেড জেড গাছের পাতাগুলি কাক-কালো রঙের হয়।নতুন পাতাগুলি প্রথমে হালকা সবুজ রঙের থাকে ।
খ. জেড জেড ‘জেনজি’
এই জেড জেড গাছের পাতাগুলি কোঁকড়ানো এবং কাণ্ডের শীর্ষে পাতা ঘন থাকে ।
গ. বামন জেডজেড উদ্ভিদ বা ‘জ্যামিক্রো’ – সাধারণ জেড জেড প্ল্যান্টের চেয়ে ছোট। এটি দুই ফুট (50 সেন্টিমিটার) এর বেশী লম্বা হয় না।
ঘ. লাকি ক্লাসিক’
পাতাগুলো কিছুটা গোলাকৃতি হয়।
ঙ. ভেরিগেটেড জেড জেড প্ল্যান্ট

আলো:
জেডজেড প্ল্যান্ট পরোক্ষ আলো পছন্দ করে । তবে এটি কম আলোতে টিকে থাকতে পারে। সরাসরি সূর্যের আলোতে পাতা পুড়ে যায়। প্রচুর পরোক্ষ আলো গাছটিতে প্রতি মাসে দু’একটি নতুন অঙ্কুর গজাতে সাহায্য করে ।

পানি:
মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিতে হবে । জেড জেড প্লান্টের স্যাকুল্যান্ট এর মত শিকড় গাছটিকে পানি ছাড়া চার মাস পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে পারে । অতিরিক্ত পানি দিলে শিকড় পচে যায় এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হতে পারে। গাছটি বৃষ্টির পানি পছন্দ করে ।

সার:
এই গাছে তেমন সারের প্রয়োজন হয় না ।তবে মাসে একবার বা দু’বার সার দেয়া ভালো ।এক্ষেত্রে NPK বা জৈবসার দেয়া যায়। (শীতে দেয়ার প্রয়োজন নেই) ।

মাটি:
কোকো ডাস্ট,পার্লাইট ,লাল বালির ও ভার্মি কম্পোস্টের মিশ্রণ জেড জেড প্ল্যান্টের জন্য আদর্শ মাটি । টবের পাত্রের নীচে অবশ্যই ভালো ভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা থাকতে হবে ।

রি-পটিং:
বিশেষত শেকড় টবে বেশী হলে প্রথম 3 – 5 বছরের মধ্যে পুনরায় পট করতে হবে । তবে বছরে একবার বসন্তের শুরুতে রিপট করা ভালো ।

প্রপাগেসন:
গাছটির যে কোনও অংশ থেকে নতুন গাছ তৈরী করা যায় ।রাইজোমগুলি(শেকড়) ভাগ করে বা পাতার মাধ্যমে বা কান্ডের মাধ্যমে প্রপাগেইট করা যায় ।তবে পাতাদিয়ে প্রপাগেসনে শেকড় আসতে বেশ সময় লাগে।

ছাঁটাই:
কাণ্ডের গোড়ার কাছে হলুদ হয়ে যাওয়া পাতা কেটে ফেলতে হয় । ছোট টবে শেকড় বেশী হয়ে গেলে দীর্ঘতম শেকড়টি কেটে দেওয়া ভালো ।

পোষা প্রাণীদের জন্য বিষাক্ত:
বিড়াল এবং কুকুরের জন্য বিষাক্ত ।এটি খেয়ে ফেললে পোষা প্রাণীদের কিছুটা হজম সমস্যা হবে তবে এটি মারাত্মক কিছু না।

সম্ভাব্য সমস্যা:
* পাতা হলুদ : নিচের পাতাগুলি অল্প পরিমাণে হলুদ হয়ে যাওয়া এবং পড়া বেশ স্বাভাবিক। যদি অনেকগুলি পাতা হলুদ হয়ে যায় তবে দেখতে হবে পানি বেশীর দেয়া হয়েছে কিনা।অতিরিক্ত পানির কারনে যদি মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকে তবে তা শেকড় পঁচে পাতা হলুদ হওয়ার অন্যতম কারন ।
* পাতার কর্নার বাদামী :বাতাাসে আর্দ্রতার পরিমান কম থাকলে পাতার কর্নার বাদামী হয়ে যায় ।
*রুটবাউন্ড – পাত্রটি খুব ছোট এবং ভিতরের চারদিকে শিকড়ের বেশী হয়ে গেলে গাছটির শ্বাসরোধ হয়ে পাতার উজ্জলতা কমে যায় ।

পাতা পরিস্কার:
পাতা ময়লা হলে ১কাপ ঘরের তাপমাত্রার পানিতে আধা চা চামচ বাসন মাজার লিকুইড ডিটারজেন্ট মিশিয়ে একটি নরম কাপড়ে নিয়ে পাতার দুই পাশ পাতার নিচে হাতের সাপোর্ট দিয়ে মুছে দিলে গাছের সালোকসংস্লেশন ভালো হয় সাথে পোকার আক্রমণ হতে গাছকে রক্ষা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *