ঝাউ
খুবই পরিচিত একটি গাছ ঝাউ।স্নিগ্ধতায় ভরা গাছটিকে আপনি যত্রতত্র দেখতে পারবেন যেকোনো অফিস-আদালত,পার্ক কিংবা রাস্তার ধারে।দেখলেই কেমন স্নিগ্ধ স্নিগ্ধ অনূভত হয় আমার।পৃথিবীতে কিছু সত্তার সৃষ্টিই হয় অন্যকে মোহিত করার জন্য,ঝাউ গাছকেও আমার তেমনি মনে হয়।মনে হয় সহজ,সরল,বোকা এক গাছ দর্শনার্থীর মনোরঞ্জন করছে ঠিকই কিন্তু তার স্থান হচ্ছে রাস্তার ধারেই।
Tamaricaceae গোত্রে অন্তর্গত টামারিক্স (ঝাউ জাতীয় উদ্ভিদ) গণের ভিতরে চির সবুজ বা পাতা ঝরা উদ্ভিদের সাধারণ নাম হলো— ঝাউ।বাংলায় ঝাউ বা বন ঝাউ বলা হলেও অনেকে আবার একে thuja plant ও বলে থাকে। এটি সরু, এবং তীক্ষ্ণ পাতা যুক্ত গাছ বিশেষ।
এর কোনোটি গুল্ম আবার কোনটি বৃক্ষ। এই গণের উদ্ভিদগুলো প্রজাতি ভেদে ১ থেকে ১৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এই গণের Tamarix aphylla প্রজাতিটি প্রায় ১৮ মিটার দীর্ঘ হয়ে থাকে। সাধারণ এই জাতীয় গাছ লবণাক্ত মাটিতে ভালো জন্মে। এই কারণে এই গণের উদ্ভিদ সমুদ্র উপকূলে প্রচুর জন্মে। তবে ক্ষারযুক্ত মাটিতেও এরা টিকে থাকত পারে।
এই গণের প্রজাতিগুলোর কাণ্ড এবং শাখা সরল এবং গোলকার। এদের পাতা সরু সরু এবং গুচ্ছাকারে থাকে। পাতাগুলো ১-২ মিলিমিটার লম্বা হয়। এবং শাখার অগ্রভাগে সরু ফলকের মতো ছড়ানো থাকে। এদের নবীন শাখাগুলো বেশ মসৃণ এবং লালচে বা বাদামি রঙের হয়। কিন্তু পুরানো ডালের রঙ হয় নীলাভ-লাল বা লাচে হয়। এদের ফুল ধরে সেপ্টেম্বর মাসের দিকে। এই গণের উদ্ভিদগুলো শাখা, মূল বা বীজের সাহায্যে বংশ বিস্তার করে।
তবে যে শুধু রাস্তার ধারেই ঝাউ গাছ হয় তেমন কোনো বিধি নিষেধ কিন্তু নেই এর।কারোও যদি দয়া মায়া হয় এবং এর সৌন্দর্যে মোহিত হন তাহলে আপনি চাইলে একে আপনার বারান্দায়,ছাদ বাগানে এমনকি ড্রয়িং রুমেও জায়গা দিতে পারেন।কারণ এটি অল্প আলোতে বেড়ে উঠা গাছ আর অল্প পানি হলেই হয় এর।বাড়তি কিছুর প্রয়োজন পরে না।তবে বেশি রোদে এর পাতা ঝলসে যায়।আর এর একটি বোনাস পয়েন্ট হলো সব সময় কেটে ছেঁটে আপনি একে আপনার মন মতো শেপে রাখতে পারবেন।
খাবারের সাথে চাটনি হলে যেমন খাবারের স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ঝাউ গাছ ও তেমনি ভাবে আপনার বাগানের অন্যান্য গাছ এর সাথে মিলে সৌন্দর্যের একটা কমপ্লিট প্যাকেজ উপহার দিতে পারে আপনাকে ।